
নিজস্ব প্রতিনিধি, আগামী কলরব: রাম মন্দিরের শিলান্যাসের প্রাক্ মুহূর্তে ঋতম বাংলা অ্যাপের সহযোগিতায় এক ঐতিহাসিক ভার্চুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করে দেশপ্রেমিক বুদ্ধিজীবীদের মঞ্চ ‘সনাতন ভারত’। আলোচনার বিষয় ছিল ‘Ram mandir a saga of a rejuvenated Hindu race‘ বা ‘রাম মন্দিরের পুনঃপ্রতিষ্ঠা হিন্দু জাতির পুনরুত্থানের গৌরবময় কাহিনী‘। উক্ত অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন তরুণ এবং বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ-সমাজসেবী চন্দ্রচূড় গোস্বামী। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও মুখ্য বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের অখিল ভারতীয় কার্যকারিনী সদস্য (ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ কমিটি মেম্বার) মাননীয় সুনীলপদ গোস্বামী মহাশয়। এ ছাড়া অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে ছিলেন রাম মন্দির আন্দোলনে আত্মবলিদানকারী রাম কোঠারি ও শরদ কোঠারির বোন শ্রীমতী পূর্ণিমা কোঠারি এবং তাঁদের জ্যাঠামশাই শ্রী দাওলাল কোঠারি।
বিশিষ্ট বক্তাদের মধ্যে ছিলেন রাম-শরদ কোঠারি স্মৃতি সংঘের বর্তমান সভাপতি রাজেশ আগরওয়াল ও প্রাক্তন সভাপতি রাজেশ কুমার আগরওয়াল, প্রাক্তন রাজ্য করসেবক ইনচার্জ ডঃ শম্ভুনাথ ধাড়া, দক্ষিণ মুর্শিদাবাদ জেলার সংঘচালক অনিল কুমার ঘোষ।
উক্ত অনুষ্ঠানের শ্রোতাদের মধ্যে ছিলেন রাজ্য ও কেন্দ্রীয় আরএসএস এর বহু বিশিষ্ট নেতৃত্ব ও সমাজসেবীরা। উপস্থিত ছিলেন ভারতের লোকসভার সাংসদ ডঃ সুভাষ সরকার, সংস্কার ভারতীর কেন্দ্রীয় সম্পাদক মন্ডলীর সদস্যা শ্রীমতী নীলাঞ্জনা রায়, হিন্দু সংহতির সভাপতি দেবতনু ভট্টাচার্য, সংহতি ফাউন্ডেশনের সভাপতি সঞ্জয় সোম, বিশিষ্ট সাংবাদিক রন্তিদেব সেনগুপ্ত, ডঃ আশীষ সরকার, পদ্মশ্রী মাসুম আখতার, ইশরত জাহান, শ্রী অরুণ জৈন, ডঃ বিজয় আঢ্য, শ্রী সুকেশ মণ্ডল, ডঃ জিষ্ণু বসু এবং ডঃ স্বরূপপ্রসাদ ঘোষ মহাশয়সহ অতি বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা।
সনাতন ভারতের সকল সদস্যই এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে সঞ্চালক চন্দ্রচূড় গোস্বামী রাম মন্দির আন্দোলনের আত্মবলিদানকারীদের স্মরণে শোক প্রস্তাব পেশ করেন। এরপর রামায়ণের ঐতিহাসিক গুরুত্ব এবং বিজ্ঞান ও প্রত্নতাত্ত্বিক ভাবে রামায়ণের আকর্ষণীয় ঘটনাগুলি ব্যাখ্যা করেন। পূর্ণিমা কোঠারি এবং দাওলাল কোঠারি রাম ও শরদ কোঠারির উদ্দেশ্যে স্মৃতিচারণ করে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সঙ্গে তাঁদের যুক্ত হওয়ার প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। ডঃ শম্ভুনাথ ধাড়া এবং অনিল কুমার ঘোষ সেই সময় করসেরকদের উপর পুলিশের নৃশংস অত্যাচারের কথা তুলে ধরেন। রাজেশ কুমার আগরওয়াল কোঠারি ভাইদের সাথে তাঁর ঘনিষ্ঠতার কথা উল্লেখ করেন।

প্রধান অতিথি ও মুখ্য বক্তা মাননীয় সুনীলপদ গোস্বামী মহাশয় রাম মন্দির আন্দোলনের ঐতিহাসিক গুরুত্ব এবং হিন্দু জাতিতে রাম মন্দিরের পুনঃপ্রতিষ্ঠানের তাৎপর্যপূর্ণ দিকগুলো ব্যাখ্যা করেন। তিনি ব্যক্তিগত ভাবেও সনাতন ভারতকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানান। সনাতন ভারতের আর এক বিশিষ্ট সদস্যা শ্রীমতী অনামিকা দে ঘোষণা করেন চন্দ্রচূড় গোস্বামী ও তিনি যৌথ উদ্যোগে রাম মন্দির আন্দোলনের গৌরবময় ইতিহাস এবং কোঠারি ভাইদের আত্মবলিদানের উপর তথ্যচিত্র করতে চলেছেন। পাশাপাশি তাঁরা দুজনে ঘোষণা করেন শুধু রাম মন্দিরই নয়,বাংলায় এই মুহূর্তে যতগুলি ঐতিহাসিক মন্দিরকে অবৈধ ভাবে মসজিদ করে রাখা হয়েছে তা পুনরুদ্ধার না করা পর্যন্ত সনাতন ভারতের গণ আন্দোলন চলতে থাকবে।
অতিথিবৃন্দদের পক্ষ থেকে ডঃ স্বরূপ প্রসাদ ঘোষ উদ্যোক্তাদের স্বাগত জানান এবং মাননীয় সুনীলপদ গোস্বামীকে শ্রদ্ধা ও নমস্কার জানান। আয়োজকদের পক্ষ থেকে চন্দ্রচূড় গোস্বামী প্রধান অতিথিসহ উপস্থিত সকলকে এবং ঋতম বাংলাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে ঘোষণা করেন সারা ভারত জুড়ে রাম রাজ্য প্রতিষ্ঠা না করা পর্যন্ত সনাতন ভারতের এই কর্ম যজ্ঞ চলতে থাকবে।